রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
প্রবাস ডেস্ক।।
ওমানে কর্মরত দুই ভাইসহ তিন বাংলাদেশির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) দেশটির জালান জেলার আলওয়াফি এলাকায় একটি গভীর কূপ থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
এরা হলেন -নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সাতাইশদ্রোন গ্রামের জরুর বাপের বাড়ির হাজী ফখরুল ইসলামের ছেলে মো. গোলাম মোস্তফা (৫০), তার ভাই নাসির উদ্দিন (৪০) ও একই উপজেলার হাজীপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন।
মৃত দুই ভাইয়ের স্বজন জিয়া উদ্দিন ফারুক জানান, ২০ বছর আগে চাকরি নিয়ে মো. মোস্তফা ওমান যান। পাঁচ বছর পর তিনি ছোট ভাই নাসির উদ্দিনকেও তার কাছে নিয়ে যান। তারা দুই ভাই বিদ্যুৎ মিস্ত্রী হিসাবে একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। আট বছর আগে একই উপজেলার হাজীপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেনকে তারা ওমান নিয়ে যান। তারা তিনজনই একই কোম্পানিতে কাজ করতেন এবং একসঙ্গে থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে আলমগীর হোসেনের চাচা রফিক উল্যা মাষ্টার জানান, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে মোস্তফা, নাসির উদ্দিন ও আলমগীর হোসেন অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে আল ওয়াফি শহরে একটি গভীর কূপে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে যান। কূপের পরিবেশ দেখার জন্য প্রথমে আলমগীর নামেন। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি কূপ থেকে উঠে না আসায় গোলাম মোস্তফা কূপে নামেন। দীর্ঘ সময় তার সাড়া শব্দ না পেয়ে নাসির উদ্দিন কূপে নামেন। কিন্তু তিন জনের কেউই ফিরে না আসায় সহকর্মীরা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে জানান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে কূপ থেকে গোলাম মোস্তফা, নাসির উদ্দিন ও আলমগীর হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
আলমগীরের স্বজন ওমান প্রবাসী মো. সালাউদ্দিন এসব তথ্য মৃতদের পরিবারকে জানান। মরদেহগুলো ওমানের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
মৃত গোলাম মোস্তফার বড় ভাই খলিলের ধারণা, কূপে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসে ওই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কেউ কেউ বলেছেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হতে পারে।
এদিকে, নিহত তিনজনের গ্রামের বাড়িতে চলছে স্বজন হারানোর আহাজারি।